ইসলাম ধর্ম (১ম খন্ড)

ইতিহাস থেকে সাক্ষ্য পাওয়া যায়, বিশ্বনবী হজরত মোহাম্মদ (দঃ) এর ইন্তেকালের পর ইমাম মাহদী হওয়ার দাবিদার হয়ে বহু লোকের আবির্ভাব হয়েছিল । প্রকৃত ইমাম  মাহদী (আঃ) আত্মপ্রকাশের আগে বহুলোক মিথ্যা মাহদী সেজে মানুষের ঈমান ও আমল নষ্ট করার চেষ্টা কোরবে তাই প্রকৃত ইমাম  মাহদী (আঃ) এর পরিচয় জানা অবশ্যই কর্তব্য । অতীতে (১) মির্জা গোলাম আহম্মদ কাদিয়ানী, (২) সিরিয়ার এক বিভ্রান্ত যুবক, (৩) বাংলাদেশের বরিশালের এক ভন্ড মাওলানা, (৪) দক্ষিণ ইয়েমেনের একজন বস্ত্র ব্যবসায়ী, (৫) ইরানের এক শিয়া নেতা, (৬) ১৪০০ হিজরীর শুভলগ্নে পবিত্র কাবা গৃহে হজ্বের সময় জনৈক মোহাম্মদ নমধারী শিয়া যুবক ও তার দলবল মাহদী রূপে আত্মপ্রকাশে কোরেছিল । কিন্তু তাদের করও পরিণাম শুভ হয় নাই, হতে পারে না । মির্জা গোলাম আহম্মদ কাদিয়ানী পায়খানায় পড়ে প্রাণ হারায় । সিরিয়ার বিভ্রান্ত যুবকটিকে বিষাক্ত বিচ্ছু কামড়িয়ে হত্যা করে । বাংলাদেশের বরিশালের এক ভন্ড মাওলানাটি পায়খানায় পড়ে পায়খানা খেতে খেতে মৃত্যুবরণ করে । ইরানের শিয়া নেতাটি গুলীবিদ্ধ হয়ে  প্রাণ হারায় । বস্ত্র ব্যবসায়ীটিকে বন্য কুকুর ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায় । কাবা গৃহে যে শিয়া যুবক ইমাম  মাহদী হওয়ার দাবি করে তাকে ফাঁসী দেওয়া হয় । অনুরূপভাবে ভন্ড মাহদী ও নবী হওয়ার দাবিদাররা অত্যন্ত ভয়াবহ ও মর্মান্তিকভাবে এই পৃথিবীতেই শাস্তি পেয়ে বিদায় গ্রহণ কোরেছে । হজরত ছাওবান (রাঃ) বলেনঃ রাছুলুল্লাহ্ (ছঃ) বলিয়াছেনঃ “শীঘ্রই আমার উম্মতের মধ্য হতে ৩০ জন মিথ্যাবাদী বের হবে । তাদের মধ্যে এই ধারণা জন্মিবে, তারা আল্লাহর নবী । কিন্তু আমিই সবর্শেষ নবী । আমার পরে আর কোন নবী হবে না, আর আমার উম্মতের মধ্যে একদল প্রকাশ্য সত্যের ওপর অটল থাকবে । যারা তাদের বিরুদ্ধে শত্রুতা কোরবে, আল্লাহ্রর নির্দেশ না আসা পযর্ন্ত দুষ্টুলোকেরা তাদের কোন ক্ষতি কোরতে পারবে না ।”তবে অধিকাংশ মুসলিমগণ ইহুদী ও খ্রিস্টানদের পদাঙ্ক অনুসরণ কোরবে, মনে হবে তারা তাদের প্রাণের দোসর ও প্রিয়তম বন্ধু । মূলতঃ তাদের মেকি বন্ধুত্বের অন্তরালে দুশমনীর হলাহল বিষ লুকিয়ে থাকবে এবং সময় ও সুযোগ বুঝে তারা তা মুসলিমদের ওপর প্রয়োগ কোরবে । তারা মুসলিমদের ক্ষতি করার জন্যে ঝাঁকে ঝাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে এবং মুসলিমদের তাদের সভ্যতা শিক্ষা দেবে, তারা মুসলিম সেজে প্রকৃত মুসলিমদেরকে ধ্বংস করার চেষ্টা কোরবে । ঠিক এহেন পরিস্থিতিতে প্রকৃত ইমাম  মাহদী (আঃ) দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে, দুস্তর মরুভূমিতে, নির্জন সমুদ্র সৈকতে, বিচরণ করবেন । তাঁর যৌবন লাভের পর নিকটাত্মীয় বা প্রতিবেশীদের কেউ তাঁকে চিনতে পারবে না, তাঁকে অযোগ্য ও বুদ্ধিহীন এবং উপার্জন করতে অক্ষম ভেবে কেউ তাঁর সাথে বন্ধুত্ব করবে না । এই নিঃসঙ্গতার ভিতর দিয়েই তিনি আল্লাহ্ প্রদত্ত জ্ঞান আহরণ করতে থাকবেন । তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদিনা শরীফে বহু সময় অতিবাহিত করবেন । কিন্তু তাঁর ৪০ বতসর পূর্ণ হওয়ার আগে কেউ তাঁকে চিনতে পারবে না ।
হজরত আবু হুরাইরাহ্(রাঃ) বলেনঃরাছুলুল্লাহ্ (ছঃ) বলিয়াছেনঃ মদীনার দ্বারমূহে ফিরিশতাগন পাহারায় রহিয়াছেন। সুতরাং উহাতে প্রবেশ করিতে পারিবেনা মহামারী দজ্জাল।
হজরত আলী মরতুজা(রাঃ) বলেনঃরাছুলুল্লাহ্ (ছঃ) বলিয়াছেন, শীঘ্রই মানুষের সামনে এমন এক জামানা আসবে যখন নাম ব্যতীত ইছলামের কিছুই বাকি থাকবে না, অক্ষর ব্যতীত কোরআনের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। তাদের মসজিদসমূহ হবে (বাহ্যিক দৃষ্টিতে) আবাদ, অথচ (উহাদের ভিতর) হবে হেদায়াতশূন্য ।তাদের আলেমেরা হবে আকাশের নিচে সবার্পেক্ষা মন্দলোক, তাদের নিকট হতে(ধর্ম সংক্রান্ত) ফ্যাতনা প্রকাশ পাবে; অতঃপর সে ফ্যাতনা তাদের প্রতিই প্রত্যাবর্তন করবে (মেশকাত) বর্তমান জামানাই সেই জামানা বর্তমান সময়ই সেই সময়।
আমাদের রাসুল্লাহ্ (দঃ) তিনবেলাই রুটি খেয়েছেন; তিনি সাহরীর সময় নিয়মিত রুটি খেয়ে রোজা রেখেছেন; খেজুর খেয়েছেন; তিনি উনার সারা জীবনে কখনো একটি ভাতও খননি। অতএব তিনবেলা রুটি খওয়া রাসুল্লাহ্ (দঃ)-এর সুন্নত; আসুন আমরা রাসুল্লাহ্ (দঃ)-এর সুন্নত অনুসারে তিনবেলা রুটি খাই; রুটি খেয়ে রোজা রাখি এবং ভাত খাওয়া সম্পুর্ণ বর্জন করি। তিনবেলা ভাত খাওয়া রামের আদর্শ; রাম নিয়মিত তিনবেলা ভাত খেয়েছে আসুন আমরা রামের আদর্শ বর্জন করি শুধুমাত্র আমাদের রাসুল্লাহ্ (দঃ)- নয়, পৃথিবীতে যত নবী-রাসুল আগমন করেছেন সকলেই নিয়মিত তিনবেলা রুটি খেয়েছেন; তাঁরা ভাত খননি আপনারা একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন যে সব দেশের (যেমন- সৌদি আরব, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য ইত্যাদি) লোক নিয়মিত তিনবেলাই রুটি খায় তাদদের মানসিক শারীরিক স্বাস্থ ভাত খোর লোকের (যেমন- ভারতীয়, বাংলাদেশী ইত্যাদি ) চেয়ে অনেক ভাল
খাঁটী ঈমানদার হই।

মুসলমান ।







http://www.hobbiesams89.blogspot.com 

 
http://samples98.wordpress.com/

No comments:

Post a Comment